ধ্বনি হোক অলংকৃত

টিউনটা শুরু করার আগে কিছু কথা বলে নিই। আপনাদের অনেকেই দেখেছি আমার টিউটোরিয়ালগুলো ভালভাবে না পড়েই শুধুমাত্র ফেইসবুক লিংক পেয়েই ম্...

FL Studio Tutorial : Placing Chord of Popular Songs

টিউনটা শুরু করার আগে কিছু কথা বলে নিই।
আপনাদের অনেকেই দেখেছি আমার টিউটোরিয়ালগুলো ভালভাবে না পড়েই শুধুমাত্র ফেইসবুক লিংক পেয়েই ম্যাসেজ দেন যে ভাই এটা কীভাবে করবো, ওটা কীভাবে করবো। এটা ঠিক না। বেশ কিছুজনকে আমার আবার পোস্টের লিংকগুলো দিতে হয়েছে। এতে এক ধরনের বিরক্তিভাব আমারও আসে। তাই আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ যে আগে ভালভাবে পোস্টগুলো পড়বেন। তারপর না বুঝলে প্রশ্ন করবেন। আমি অবশ্যই আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে চেষ্টা করবো।


আবার খুব কমন একটা প্রশ্ন শুনি যে মিউজিক শিখতে আমার কতদিন লাগবে।
ডাঃ লুৎফর রহমানের দুইটা লাইন তুলে ধরছি-
‘‘বাদককে এক যুবক জিজ্ঞেস করেছিল- বাজনা শিখতে আমার কতদিন লাগবে? তিনি বলেছিলেন- 
 প্রত্যহ ১২ ঘন্টা করে যদি পরিশ্রম কর, তাহলে বিশ বছর লাগবে।

এক পন্ডিত বললেন- যে ব্যক্তি ধীরভাবে অপেক্ষা করে, সে-ই সফল হতে পারে। বস্তুত কত কাল অপেক্ষা করতে হবে, তা কে জানে? আশায় বুক বেঁধে খোদাকে ভরসা করে কাজ করতে থাক, তুমি সফল হবে। সাধনাকে আনন্দ দিয়ে পূর্ণ করে তোল। কবে তুমি কৃতকার্য হবে, সে কথা ভেবো না- তাহলে সাধনায় ক্লান্তি আসবে। ব্যর্থতা তোমাকে ভেঙে ভেঙ্গে দেবে। আনন্দ ভরা সাধনা, নিয়ত ফল সম্বন্ধে উদাসীন তোমার মন, ধীরে ধীরে অজ্ঞাতসারে তোমার গন্তব্যস্থানে নিয়ে যাবে। শুভ প্রভাতে দেখতে পাবে, তোমার মাথা বিজয় মুকুট শোভিত হয়েছে। তুমি নিজেই জয়ে বিস্মিত হবে। আশাশূণ্য ও নিরানন্দ মনে কোন কাজ করো না।’’

তাই, হতাশ হবেন না। কাজ চালিয়ে যেতে থাকুন।
এবার তাহলে শুরু করা যাক। ধরুন আপনি একটা গানের কর্ড পেয়েছেন। সেটা FL Studio-তে বসিয়ে গানটা কম্পোজ করবেন কীভাবে? কীভাবে? আরে ভাই আমিও তো সেটাই বলছি।
আচ্ছা যাইহোক, আজ আপনাদের সেটাই দেখাবো।

  • গানটা  সিলেক্ট করার পরই চিন্তা করবেন যে গানটা কোন তালের হবে। গানের তাল মনে রাখার পদ্ধতি কিন্তু তালের টিউটোরিয়ালে শিখিয়ে দিয়েছি। ধরা যাক, গানটি হলো উপমহাদেশের সবচেয়ে বেশিবার শোনা আর সবচেয়ে বেশি পরিচিত গানটা। কোনটা বলুন তো? হ্যাঁ। মান্না দের বিখ্যাত কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই এই গানটা। তো এটা কোন তালের সাথে মিলবে বলুন তো? তালের টিউটোরিয়ালটি পড়ে থাকলে অবশ্যই একবাক্যে পারার কথা। এটা নিঃসন্দেহে কাহারবা তালের সাথে মিলবে। তাই আমরা প্রথমে এই তালটি সেট করার জন্য একটা ড্রাম নেবো।
  •  FLStudio চালু করুন। Plugin Picker থেকে FPC টেনে নিয়ে আসুন। এখন বরাবরের মতোই এর উপরের ডানপাশে ক্লিক করে Fpc Ambient Groove01 সিলেক্ট করুন বা এ জাতীয় অন্যটিও সিলেক্ট করতে পারেন। 



  • TEMPO প্র্যাকটিসের সুবিধার্থে 115 তেই রাখুন যদিও গানটার গতি আর একটু বেশি। ড্রামটা বাজান তো। মিউজিক ছাড়াই দুই এক লাইন গান। কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই। (ভালোই লাগছিল। গান না!) বুঝতে পারছেন তো ড্রামের কোন্‌ জায়গায় কোন্‌ শব্দটাতে জোর পড়বে? তাল মিলেছে তো?
  • আবার ভাবছেন যে এইটুকুতে তো মাত্র কফি হাউজের সেই... এই পর্যন্ত গাওয়া যাবে। বাকীটুকুর জন্য কী আলাদা প্যাটার্ন নেব? না। আজ একটু সহজভাবেই শেখাবো।FPC এর  Piano Roll চালু করুন বাজালে বুঝতে পারবেন যে আসলে ড্রামের কোন্‌ জায়গায় কোন্‌ সাউন্ড টা হচ্ছে। দেখবেন 1 থেকে 2 পর্যন্ত জায়গাতে অনেকগুলো Closed Hat, Snare, Kick Drum ইত্যাদির নোট বসানো আছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে আপনিও আপনার পছন্দমতো ড্রামের মিউজিক তৈরি করতে পারেন। 

  • তো যা বলছিলাম যে আমরা এখানেই দৈর্ঘ্য বাড়াবো। আচ্ছা, পুরো লাইনটা মানে কফি হাউজের........আজ আর নেই, আজ আর নেই এই পর্যন্ত বাজাতে আমাদের কয়টা প্যাটার্ন লাগতো চিন্তা করুন তো। ড্রামটা বাজিয়েই চিন্তা করুন। হুমম। ৪ টা প্যাটার্ণ লাগতো। তাহলে আমরা এখানেই ড্রামের চারটা কার্বন কপি তৈরি করি।
  •  Piano Roll এর উপরে দেখবেন চারকোনাকৃতির একটা Select বাটন পাবেন। সমস্যা হলে মাউস নিয়ে সবগুলো অপশনের উপর ধরুন। FILE, EDIT, CHANNELS…..এগুলোর নিচের বক্সে প্রত্যেকের নাম শো করবে। তো Select বাটন টা তে ক্লিক করুন। এরপর মাউস দিয়ে অনেকগুলো ফোল্ডার বা ফাইল যেভাবে  সিলেক্ট করে সিলেক্ট করে সেইরকম করে সবগুলো ড্রামের নোটগুলো সিলেক্ট করুন। দেখবেন রাগে লাল হয়ে যাবে।
 
  • এই অবস্থায় উপরের কালো বারের উপরে একটি স্ক্রলবার পাবেন। ওখানে মাউস দিয়ে ক্লিক করে 3 সংখ্যাটা সবার বামে নিয়ে Abc এর একদম নিকটে রাখুন। 


  • কি-বোর্ডে Ctrl+V চাপুন দেখবেন নোটগুলো এপাশেও কপি হয়েছে। খুব খুশি নাকি? ভাবছেন আরো দুইবার এভাবে কপি করবেন? করতে পারেন। তবে এখানে একটা বুদ্ধি শিখে দিই। যারা বুদ্ধিটা শিখতে না চান, তাদের নিচের রঙীন লেখাগুলো পড়ার দরকার নেই। 
  • লক্ষ রাখবেন, যে কোনো একটা নোট 1,2,3 লেখা কালো দাগের সাথে পুরোপুরি মিলে গেছে কিনা। যায় নি। তাই না। তাহলে আমরা এক কাজ করব। যেকোন একটা নোট একদম লাইনের কালো দাগের সাথে ঠেকিয়ে দেবো। সুবিধা কী হবে পরে বলছি। 
  • ধরা যাক, যেগুলোতে ড্রামের শব্দ হবে না অর্থাৎ G#2, A2, A#2, B2, D#3, F3 অর্থাৎ মরা জায়গাগুলো বরাবর ডানে আমরা 3 এর কালো দাগ ঘেষে আমরা একটা নোট নিলাম। মাউসটা কালো বারের উপর রেখে মাউসের চাকা ঘুরিয়ে সম্পূর্ণ জ্যুম করে দেখুন সত্যিই 3 দাগের সাথে মিলেছে কিনা। মিলানোর চেষ্টা করুন। যদি না পারেন SNAP থেকে none সিলেক্ট করুন। এবার খুব সহজেই পারবেন। আশাকরি ব্যাপারটা বুঝেছেন।
 
কেনো কাজটি করালাম বলুন তো? এবার কোনোকিছু সিলেক্ট না করেই Ctrl+B চাপুন। দেখুন যতদুর নোট এসেছিল ঠিক তার দ্বিগুণ হয়ে গেল! এটা অনেক কাজে দেয়। 

একটা সার্বিক স্ক্রীনশট দিলাম।

 
 যাকগে আমাদের ড্রামের মিউজিক তৈরির পালা শেষ এবার কর্ডগুলো বসাব।

অনেকেই তাল অনুযায়ী হয়তো কর্ডের জায়গাগুলো এরইমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন। হুমম, এবার কর্ড বসানোর পালা। তার আগে কিছু কথা। অনেকেই বলে থাকেন মেজর কর্ড কী, মাইনর কর্ড কী। দেখুন এগুলো বোঝাতে গেলে শুধু শব্দই বাড়বে, কাজের কাজ কিছুই হবেনা। আর স্কেল অনুসারে কিছু কর্ডের নামকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া সব কর্ডই শুধু নামেই কর্ড। কর্ডগুলোকে নোট বাছাইয়ের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়। আর এই নামকরণের একটাই উদ্দেশ্য যে খুব সহজেই যেন ব্যবহার করা যায়। আর আলোচনার মধ্যে মেজর কর্ড নিয়েই কিছু আলোচনা হয়, মাইনর বা আর সব কর্ড নিয়ে তেমন কেউ আলোচনা করেন না। কারণ, এগুলোর আসল কাজ হলো এর ব্যবহার। তাই আপনার যদি একান্তই মেজর কর্ড, মাইনর কর্ড সম্পর্কে জানার ইচ্ছা হয় তাহলে FL Studio তে সব কর্ডগুলো বসিয়ে গবেষণা করতে পারেন। আমার কোনোই আপত্তি নেই। কেননা আমরা এর ব্যবহার শিখব। আর ব্যবহার সহজতম উপায় FL Studio-তেই তৈরি করা আছে।

মাঝে মাঝে ভাবতে খুব অবাক লাগে। একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার শুধু একজন প্রোগ্রামারই নন, একজন ভালো মিউজিশিয়ানও। নইলে FL Studio সফটওয়্যারটা তৈরি করতে পারে! যদিও একটা বড় প্রতিষ্ঠানের সবাই মিলে এ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। তারপরও বিষয়টা তো একজনের মাথা থেকেই বেড়িয়েছি তাইনা। 

যাইহোক এবার আমরা কর্ড বসাবো। এজন্য আমরা যেকোন একটা গিটার বা পিয়ানো ব্যবহার করবো।
  •  তাহলে প্রথমে Plugin Picker থেকে FL Keys নিয়ে আসুন। আমরা FL Keys এর Piano Roll-য়েই কর্ডগুলো বসাব।
  • ও হ্যাঁ ভালো কথা কর্ডগুলো কোথায় পাবেন? Google এ গানের নামের শেষে Chord লিখে একটামাত্র সার্চ দিলে যেকোন গানেরই কর্ড পাবেন। এই দেখুন আমি "কফি হাউজের" এই গানটার কর্ড নামিয়েছি। 





কর্ডগুলো ঠিক কোন্‌ জায়গায় বসবে তা তালের সাথে দুই একবার মেলালেই বুঝতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি চিহ্ন করে দিয়েছি। দেখুন, F#m হবে 'nei' এর সময়। সাইটের দুর্বলতার কারণে ওটা একটু ডানে চলে গেছে। এসব ক্ষেত্রে ফটো দিলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ একটু এদিক সেদিক মনে করে বসালেই শেষ!
যাইহোক আগের মতো এবারও আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে কর্ড গুলো বসাবেন।
এরকম কর্ডের ক্ষেত্রে-
E = E Major
A = A Major
C#m = C# Minor
B = B Major
এছাড়াও মেজর সিক্স, সেভেন, সাসপেন্ডেড, সাসপেন্ডেড 2-4 সহ আরো নানা বহুরুপী কর্ড পাবেন। এগুলো FL Studio তে বসাতে কোনোরকম বেগই পেতে হয় না। 
  • FL Keys এর Piano Roll চালু করুন। 
  • বামপাশের উপরে Piano roll options -এর ড্রপডাউন থেকে Chord-এ যান।
বুঝতে সমস্যা হলে আগের এই টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন।
 
  • এখান থেকে যে কর্ডটা বসাবেন তা সিলেক্ট করুন। যেমন: E Major এর সময় Mojor সিলেক্ট করুন। আর Piano Roll এ গিয়ে শুধুমাত্র E তে ক্লিক করুন। দেখবেন। কর্ডের তিনটি জায়গা-ই নোট পড়েছে। এবার সুবিধামতো টেনে-হিঁচড়ে জায়গায় বসান। আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে ফটো আকারে দেখিয়ে দিচ্ছি।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই: 



 কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই:


 আর আপনাদের সুবিধার্থে পুরো কাজটির প্রজেক্ট ফাইলটা দিলাম। যাদের সাপোর্ট করবে তো ভালো। না করলে আপনাদেরই একটু কষ্ট করে তৈরি করতে হবে। ভিডিও টিউটোরিয়াল দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একটু ঠান্ডা লেগেছে তো।
Download ↓↓↓

আর একটা কথা। অনেকেই দেখি ম্যাসেজ দেয় যে ভাই গান থেকে ভোকাল/ভয়েস রিমুভ করে কিভাবে। দেখুন ভাই ঐটা করলে আমার এতো কিছু করতে হতো না। আমার কাছ থেকে যদি একান্তই শিখতে চান নিয়মমাফিক শিখতে হবে। কারণ, একটা মিউজিক নিজে কম্পোজ করার মধ্যে যে আনন্দ তা যে কম্পোজ করে সেই বুঝতে পারে। সেদিন এক ভাই তার তৈরিকৃত একটা মিউজিক দেখাল। বললো যে সে এভাবে চেষ্টা করছে। চিন্তা করুন, সে কত খুশি হয়ে সবার সাথে জিনিসটা শেয়ার করেছে! আবার অনেকে SMS এর রিংটোন বানাচ্ছে। এই জিনিসগুলো আমার এতো ভালো লেগেছে। আপনি পারুন বা না পারুন। যা পারুন তাই করুন। যেটা মনে হয় সেটাই বানান, হতে পারে SMS টোন, হতে পারে রিংটোন, হতে পারে ভয়ঙ্কর শব্দ, হতে পারে ভৌতিক আওয়াজ, airtel এর রিংটোনটাই চেষ্টা করুন না! যদি আপনার চেষ্টা থাকে কিছুই আপনাকে দমাতে পারবে না।

আর DJ/Remix এই গানগুলো নিয়ে আমার বেশ আপত্তি আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালোভাবেই এই গানগুলো ঘৃণা করি, কারণ, এই গানগুলো মূলগানগুলোর স্বকীয়তা নষ্ট করে। আবার এমনও কিছু বেআক্কেল কোয়ালিটির DJ শুনেছি যে গানটির DJ/Remix প্রয়োজন ছিলনা বা করা যেত না। সে জোর করেই করেছে। গানটার কোয়ালিটিই মাটি! না জানি গানটির উপরে কত ধকল গেছে! একটু বেসুরো মিউজিক দিলে ওটাও নাকি  DJ-এর স্টাইল। সঙ্গীতের কিছু Rules আছে। নিয়ম আছে, নিয়মের ব্যবহার আছে। আর DJ দেখুন, সঙ্গীত সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিরা পর্যন্ত DJ গান তৈরি করে। তাহলে এটা সঙ্গীতের কোনো পর্যায়ে পড়লো? একটা মানসম্মত সঙ্গীতকে এভাবে ধর্ষণ করবেন না।
তাই অনুরোধ DJ/Remix নিয়ে কেউ আমাকে কোনো প্রকার প্রশ্ন করবেন না। আমার কথায় খারাপ লেগে থাকলে কিছুই করার নেই। DJ-এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন পার্টি আর বারে। যেখানে অনেকেই সঙ্গী সহকারে নাচবে, ফূর্তি করবে, আরো অনেক কিছুই করবে যা আপনাদের কারোই অজানা নয়। মূল সঙ্গীতের নিয়মের ভিতরে এটাকে কখনোই আনা যাবে না। তাই যদি শিখতেই চান মূল ধারার সংস্কৃতিতে আসুন। না হলে আজকেই আমাকে আনফ্রেন্ড বা আমার গ্রুপ থেকে লিভ করতে পারেন।

আজকের মতো এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন সবাই।

1 coment�rios:

কয়েকদিন বিশ্রামের পর আবারো স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আগেই বলেছিলাম, FL Studio হলো এমন একটা সফটওয়্যার যা শুধুমাত্র কয়েকটা ইন্সট্...

FL Studio Tutorial : Adding External VST plugins


কয়েকদিন বিশ্রামের পর আবারো স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই?

আগেই বলেছিলাম, FL Studio হলো এমন একটা সফটওয়্যার যা শুধুমাত্র কয়েকটা ইন্সট্রুমেন্টেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরে থেকে আমরা আরো বাদ্যযন্ত্র যোগ করতে পারি। যেমনঃ FL Studio তে কিন্তু ভালো কোনো গিটার নেই। এই গিটার যদি যুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে বাইরে থেকেই যোগ করতে হবে। আজ শিখাবো কিভাবে বাইরে থেকে বাদ্যযন্ত্র তথা VST যোগ করবেন। শুরু করি তাহলে: অনলাইনে বিভিন্ন সাইট আছে যেগুলো ফ্রি-তেই VST সরবরাহ করে থাকে। এসকল সাইট থেকে আমরা VST ডাউনলোড করে সেটা FL Studio-তে বসাতে পারি। এই VST সাধারণত দুইরকম হয়ে থাকে। একটা হলো Application File (.exe, .msi) যেগুলো অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো ইন্সটল দিতে হয়। আর আরেকটা আছে .dll ফাইল যেগুলো ইন্সটল দিতে হয় না। এগুলো ইন্সটলেশন ডিরেক্টরিতে অর্থাৎ যে ড্রাইভে FL Studio সেটআপ দিয়েছেন সেখানে C:\Program Files\Image-Line\FL Studio 11\Plugins\VST এই ফোল্ডারে রাখতে হয়। আসুন প্র্যাক্টিক্যালি দেখি। ১। প্রথমেই www.dskmusic.com এই সাইটে যান। নিচেই DSK Dynamic Guitar নামের একটা VST দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।



২। এরপর আপনার অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী একটা VST ডাউনলোড করুন। ZIP আকারে ডাউনলোড হবে।

৩। ডাউনলোড হয়ে গেলে ZIP থেকে তা Extract করুন। দেখবেন চিত্রের মতো কিছু ফাইল বিশিষ্ট একটা ফোল্ডার পাবেন।


 ৪। এবার নতুন যে ফোল্ডারটি পেলেন তা Copy করুন।
৫। এখন সেই ফোল্ডারটি C ড্রাইভে FL Studio ইন্সটল দিয়ে থাকলে C:\Program Files\Image-Line\FL Studio 11\Plugins\VST এই ফোল্ডারে গিয়ে Paste করুন।
৬। এবার FL Studio ওপেন করুন।
৭। এখন CHANNELS> Add one> More… এ যান। নিচের মতো দেখতে পাবেন।



৮। Refresh থেকে Fast Scan করুন। ৯। দেখবেন চিত্রের মতো নিচে 1 new plugin was found বার্তাবিশিষ্ট একটা ম্যাসেজ পাবেন। আর সেইসাথে নতুন plugin টা লাল রঙে শো করবে।



 ১০। এবার CHANNELS> Add one –এ গেলে নতুন VST Plugin টা আপনি দেখতে পাবেন।



১১। সেখানে ক্লিক করলে VST টা ওপেন হবে।
এভাবে আপনারা বিভিন্ন VST FL Studio তে যোগ করতে পারেন।

কিছু লক্ষণীয় বিষয়:

১। যেসকল VST সেটআপ দিতে হয় সেগুলো ইন্সটল দেবার পর সেই ইন্সটলেশন ফোল্ডারে যাবেন। এবং .dll ফাইলটা খুঁজে বের করে C:\Program Files\Image-Line\FL Studio 11\Plugins\VST ফোল্ডারে Paste করে উপরের নিয়ম অনুযায়ী Scan করবেন। তাহলেই কেবল সেসব VST ব্যবহার করতে পারবেন। কেননা সফটওয়্যারের মতো সেটআপ দিলে বেশিরভাগ VST-ই FL Studio’র ডিরেক্টরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়না। সেটা আপনাকে ম্যানুয়ালিই করতে হবে। এটা বললাম এই কারণে যে অনেকেই অভিযোগ করেন যে VST ইন্সটল দিয়েছেন কিন্তু কাজ করছে না।

২। যেসব VST-গুলো Mixer-এ ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো Mixer এর ডানপাশের ড্রপডাউন মেনু থেকে একইভাবে More-এ গিয়ে Scan করে, মার্ক করে ব্যবহার করবেন।



৩। জানি ভাবছেন যে ফ্রি VST ডাউনলোডের কিছু সাইট দিলে ভালো হতো। তাই নয় কি? জ্বি। আমার মনে আছে। নিচের সাইটগুলো থেকে ফ্রি তে VST ডাউলোড করতে পারবেন।
http://www.dskmusic.com/
http://vst4you.com/
http://www.vst4free.com/
http://www.vstplanet.com/
http://www.megavst.com/
http://www.vstwarehouse.com/
http://www.best-free-vst.com/
http://www.freesoundeditor.com/
http://www.studiotoolz.net/
http://www.acoustica.com/
http://www.freemusiciansresource.com/
http://www.superdrumfx.com/
http://www.pluginboutique.com/
আজ আর নয়। ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষণ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ফেসবুকে আমি:
https://www.facebook.com/Paakhy
গ্রুপ লিংক :
https://www.facebook.com/groups/FLStudioTutorial

3 coment�rios:

স্বাগতম দশম টিউটোরিয়ালে। কিছু কথা বলে নিই। আপনারা বলেন যে ভিডিও টিউটোরিয়াল দিতে। যতটুকু পারি দিই। কিন্তু বেশি বড় করতে গেলে দ...

FL Studio Recording Tutorial


স্বাগতম দশম টিউটোরিয়ালে।
কিছু কথা বলে নিই। আপনারা বলেন যে ভিডিও টিউটোরিয়াল দিতে। যতটুকু পারি দিই। কিন্তু বেশি বড় করতে গেলে দেখা যায় বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য আপলোড করতে পারছি না। তাই আর আগ্রহ থাকেনা। আর আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাই আপনাদের বোঝাতে। বাদবাকী শুধু আপনাদের আগ্রহ আর প্রচেষ্টা।

আর একটা গানের নোট আপনাদের শিখিয়ে দিলাম বলে আপনি যে সব গানেরই নোট বের করতে পারবেন, তা তো না। তাই আপনাকে সহজ কিছু গানের নোট বাজিয়ে প্র্যাকটিস করতে হবে। আপনি যদি নতুন হন তাহলে কোনোভাবেই একদিনে এভাবে নোট বের করতে পারবেন না। আমি পিয়ানো টিউটোরিয়ালে যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করে গেছি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের বোঝাতে। আর আমার মনে হয় অনলাইনের এর চেয়ে বেশি ভাল করে বোঝানো সম্ভব না।
তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোনো শিক্ষকের কাছে হারমোনিয়াম বাজানো শেখেন। আর তা FL Studio’তে প্র্যাকটিস করেন। আর ভেবেছিলাম যে পূর্ণাঙ্গ গান কমপ্লিট করবো। কিন্তু তা করতে গেলে শুধু না বোঝার উপরই শেখা হবে। তাই ভাবলাম আপনাদের আরো কিছু বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া দরকার।
তাই আপনাদের আজ শিখাবো কিভাবে রেকর্ড করতে হয়।

আসলে রেকর্ডিংয়েও একটা কথা আছে। আমি তো থাকি কোলাহলপূর্ণ এলাকায়। আর মাইক্রোফোনও তেমন উন্নত না। বছর তিনেক আগে ২৭০/= টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। বেশ ভালোই রেকর্ড হতো যদি বাড়িটা রাস্তার পাশে না হতো। নয়েজ কমাতে গিয়ে দেখা যায় গানের কোয়ালিটিরও বারোটা বেজেছে। তাই অন্য কোনো অডিও ইডিটর দিয়েই প্রথমে রেকর্ড করি। পরে তা FL এ বসাই। তবে হ্যাঁ গাওয়ার সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে FL এর Playlist চালু করে রেকর্ড করি।

WinXP এর ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে Start> Control Panel> Sound & Audio Devices এর Audio ট্যাবের Sound Recording  এর Volume টা সর্বোচ্চ করে রেকর্ড করবেন।


এরপর Recording Comtrol বক্সের Option থেকে Properties-এ যাবেনসেখানে Recording অপশনের নিচে Sterio Mix ব্যতীত সবগুলোতে টিক দিয়ে ওকে করবেন।


আর Win7 এর ক্ষেত্রেও একই কথা। Control Panel-এ ভলিউমের অপশনে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। আর যদি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন। না পান তাহলে সরাসরি Magic Audio Editor যেটার লিংক প্রথম টিউটোরিয়ালে পাবেন বা Jet Audio হলো Freeware একটা সফটওয়্যার। Jet Audio নিচ থেকে ডাউনলোড করুন।


Magic Audio Editor এর ক্ষেত্রে প্রথমে New এ গিয়ে নিচের মতো করে ঠিক করুন।



এরপর Record অপশনে গিয়ে নিচের মতো করে সেটিং করে নিন। এরপর বক্সের রেকর্ডে চাপ দিলে রেকর্ড শুরু হবে।


রেকর্ডের সাউন্ড যদি কম মনে হয় তাহলে উপরে দেখুন Amplify লেখা আছে। ওটাতে ক্লিক করে সাউন্ড ১০০০ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে পারেন। তবে দেখবেন যেন কোনোক্রমেই সাউন্ডের গ্রাফিক্যাল ওয়েভ অর্থাৎ ঢেউগুলো দুই পাশ অতিক্রম করে না যায়। কেননা তাহলে সাউন্ড এত বেশি হয়ে যাবে যে ভাল শোনাবে না।
আর যদি এটি দিয়ে রেকর্ড করতে না পারেন তাহলে Jet Audio নিন। ওপেন করলে খুব সুন্দর একটা R লেখা দেখতে পাবেন। ওখানে চাপ দিলেই রেকর্ডিং শুরু হবে। 


আর রেকর্ডিং শেষ হলে তা ডিফল্ট আউটপুট সাধারণত My Documents .wav ফরম্যাটে সেভ হবে। আপনি এই wav ফাইলটা Magic Audio Editor দিয়ে সাউন্ড বাড়িয়ে (Amplify করে) mp3 আকারে সেভ করতে পারেন।

এরপর আসল কাজ। FL Studio-তে সাউন্ডটা বসানো। যেখানে Pattern গুলো সাজিয়ে মিউজিক তৈরি করেছেন অর্থাৎ Playlist-এ সেই mp3 ফাইলটি ড্রাগ করে এনে ছেড়ে দিন। এক্ষেত্রে SNAP সবসময় None  করে রাখবেন। তাহলে দেখবেন যে অডিওটি খুব সহজভাবে মিউজিকের সাথে সঠিক জায়গায় বসাতে পারবেন।
তারপর প্রয়োজনীয় ইফেক্টগুলো বসিয়ে mp3 আকারে Export  করে নেবেন।
সমস্যা হলে ভিডিও টিউটোরিয়াল টা দেখে নিন।




ধন্যবাদ সবাইকে।





1 coment�rios: