ধ্বনি হোক অলংকৃত

গত পর্বে আপনাদের শিখিয়েছিলাম কীভাবে প্যাটার্ণ তৈরি করে তা Playlist এ বাজাতে হয়। কিন্তু সেই প্যাটার্ণ তৈরি করা তো জানতে হবে। একটা ...

FL Studio Tutorial: Drum & Piano


গত পর্বে আপনাদের শিখিয়েছিলাম কীভাবে প্যাটার্ণ তৈরি করে তা Playlist এ বাজাতে হয়। কিন্তু সেই প্যাটার্ণ তৈরি করা তো জানতে হবে। একটা প্যাটার্ণে থাকবে, গানের ঐ লাইনে ব্যবহৃত সকল বাদ্যযন্ত্র ও তাদের বাজনা।
যেমন: পিয়ানো, ডার্ম, প্যাড, কর্ড ইত্যাদি। উফফ! আপনাদের অনেক কিছু শিখাতে হবে দেখছি। ভাবছি কী দিয়ে শুরু করা যায়। আচ্ছা পিয়ানো দিয়ে শুরু করা যাক। ধৈর্যহারা হবেন না। একদিনে কেউই শিখতে পারবে না এটি। আমি নিজেই মুটামুটি ২/৩ বছর ধরে পড়ে থেকে আজ আপনাদের টিউটোরিয়াল লিখছি। তাহলে আপনারা একদিনে কীভাবে শিখবেন।
আর একটা কথা। যাই শিখুন, প্র্যাকটিস করুন। FL Studio'র এলাকাটা চিনে রাখুন। পরবর্তীতে এটা খুবই দরকার হবে।
যাইহোক চলুন।
আপনার কি সা-রে-গা-মা সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? নেই? তাহলে আপনার একটু বুঝতে কষ্ট হবে।
ব্যাপার না। আমি আছি কী করতে?

    প্রথমে FL Studio সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।
    • Ctrl+F8 অথবা মাউসের চাকাতে ক্লিক করুন।

    • এখন যেসমস্ত বাদ্যযন্ত্র দেখতে পাবেন সেখানে All থেকে FL Keys টেনে নিয়ে এসে FL Studio'র মাঠে ছাড়ুন। (FPC এর ব্যাপারটা পরে বলছি) 
    • এবার Z থেকে বাজানো শুরু করুন আর বলতে থাকুন।
    সারি ১ (বেশ মোটা শব্দ):  সা(Z)-রে(X)-গা(C)-মা(V)-পা(B)-ধা(N)-নি(M)-সা(,)

    অথবা আপনি Q থেকেও বাজাতে পারেন।

    সারি ২ (বেশ চিকন শব্দ):  সা(Q)-রে(W)-গা(E)-মা(R)-পা(T)-ধা(Y)-নি(U)-সা(I)

    এখন বলুন তো?
    সা(,) আর সা(Q) এর মধ্যে পার্থক্য কী? দুটো সুইচই বাজিয়ে দেখতে পারেন। একইরকম স্বর আসবে।
    তার মানে হলো স্থান সংকুলান না হওয়াতে লাইন দুটি ভেঙে সাজানো হয়েছে। তারমানে মূল ছকটা এরকম হবে।

    Z-X-C-V-B-N-M- (,বাQ) - (.বাW) - (/বাE)-R-T-Y-U-I-O-P-[-]

    তারমানে হলো (Q) এর কম্পাঙ্ক (Z) এর দ্বিগুণ। আবার (I) এর কম্পাঙ্ক (Q) এর দ্বিগুণ। কারণ দুটোই হলো 'সা'। কম্পাঙ্ক মানে হলো তীক্ষ্ণতা।
    ড্রামের মিউজিক তৈরি করা তো কোনো ব্যাপার না। পিয়ানোটাই মূল। কারণ, একটা গানে বিভিন্ন মিউজিক বাজাতে হয়।
    গানে গানে শুরু করি।

    আচ্ছা, ঐ গানটা শুনেছেন না? "তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ, বায়োস্কোপের নেশা আমায় ছাড়েনা।" এই গানটা দিয়ে আমরা পিয়ানো বাজানো শিখব। প্রথমে সহজ সহজ গান দিয়েই শুরু করছি।
    আচ্ছা একটু এভাবে ভেঙে ভেঙে বাজান তো। Q থেকে শুরু করবেন।

    সারণী 1:

    তোমারবাড়িররংএরমেলায়
    QQERTRER
    দেখেছিলা-আমবায়োসকো-ও
    YYT7-YTRT-RE
    বায়োসকোপেরনেশামায়
    ERYTREWQ
    ছা-ড়েনা





    W-RE






    আসলে মূলত একটা গানের সুর আমরা এভাবেই তুলি। আপনার প্রথম প্রথম শিখতে সমস্যা হবে। তবে একবার শিখতে পারলে আর কোনো বাঁধাই থাকবেনা।
    নিন। এটা ঝটপট Pattern1 এ তোলা যাক। তুলবেন কীভাবে? আসুন তোলার আগে একটা ড্রাম সিলেক্ট করা যাক।

    • Ctrl+F8 বা মাউসের চাকাতে ক্লিক করুন।
    • অনেকগুলো বাদ্যযন্ত্র থেকে FPC টেনে নিয়ে ছেড়ে দিন FL-এর ময়দানে।  (আগের মতো করে)
    • উপরে ডানদিকে লক্ষ করুন। Midi Loop এর ডান পাশে Fpc Polka 10 আছে। আর তার ডান পাশেই আছে নিচের দিকে তীরচিহ্ন। সেখানে ক্লিক করুন।
    • Jazz Loops থেকে Fpc 6-8 Groove01.  সাবধানে করবেন নতুবা অন্য কোনোটির হাজার অপশন আপনার সামনে উন্মুক্ত হবে।

    • Fpc 6-8 Groove01  এর দুইপাশে দুইটি তীর চিহ্ন আছে। এটা পরিবর্তন করে সুবিধামতো গানের তাল ঠিক করা যায়। এই গানের জন্য মুটামুটি এই তালটাই ঠিক আছে। তবে এরকম আরো বেশ কয়েকটা পাবেন।
    • স্পেসবারে চাপদিন। এত দ্রুত বাজছে কেন? হুমম। এবার এটা ঠিক করতে হবে।
    • উপরে দেখুন, ডিজিটাল ঘড়ির মতো অংশের নিচে TEMPO লেখা আছে। সাধারণত, প্রথম অবস্থায় সেখানে 130 লেখা থাকে। এর নিচে দিলে ধীরে ধীরে স্লো হয়ে যাবে। আর উপরে দিলে ধীরে ধীরে ফাস্ট হবে। তবে একদম বেশি দেবেন না। মটরসাইকেলের মতো শব্দ হবে। (দিয়েই দেখুন)। আপনি মাউস দিয়ে ক্লিক না করে শুধু সংখ্যাটার উপর মাউস রেখে মাউসের চাকা ঘুরিয়ে নিচের দিকে নিয়ে গিয়ে 90 এ রাখুন। এটা আরেকভাবেও করতে পারবেন। সংখ্যার উপর মাউস দিয়ে ক্লিক করে ধরে রেখে মাউসটা নিচে উপরে করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
    • আর একদম ডানপাশে দেখুন উল্টো U আর লেখা আছে SNAP, ওখানে ক্লিক করুন। এসব তালের ক্ষেত্র 3 বা তিনের গুণিতক যেকোন একটা Steps/Beats  সিলেক্ট করবেন। যেমনঃ 1/3 Beat, 1/6 Beat, 1/3 Step, 1/6 Step.  বিষয়টা বুঝিয়ে বলছি।
    • প্যাটার্ণে যে FL Keys  লেখা আছে তার উপর মাউস রেখে ডান বাটন ক্লিক করুন। Piano Roll এ ক্লিক করুন। একটা পর্দা ওপেন হবে। উপরে বামপাশে Abc লেখার ডানে যে কালো বার আছে ওখানে মাউস রেখে উপর-নীচ করলে Zoom বাড়বে কমবে। জুম একটু কমান যাতে কালো বারে 1.2.3  পর্যন্ত দেখা যায়।
    • এখন যদি আপনি SNAP থেকে Bar সিলেক্ট করেন, তাহলে দেখবেন যে 1 থেকে 2 পর্যন্ত জায়গায় আপনি মাউস দিয়ে ক্লিক করে একটার বেশি নোট বসাতে পারবেন না। আর যদি Beat সিলেক্ট করেন তাহলে দেখবেন 1 থেকে 2 পর্যন্ত জায়গায় আপনি 4 টা নোট স্থাপন করতে পারবেন। যতই উপরে উঠবেন ততই বেশি নোট স্থাপন করতে পারবেন। তো আমরা 1/6 Beat সিলেক্ট করব।
    • যেহেতু Piano Roll  ওপেন আছে তো আছে তো আমরা এখনই এখানে FL Keys এর নোটগুলো তুলব। স্পেসবারে চাপ দিন। ড্রাম বাজছে তো? ওকে। এবার নোটগুলো কিভাবে বসাবেন বলছি। সারণী 1 এর দিকে তাকান। ঐ আটটা নোট আপনাকে Piano Roll এর এই 1 থেকে 2 এর মধ্যে বসাতে হবে। চেষ্টা করুন তো।
    • প্রথম দুইটা নোট অর্থাৎ Q Q চাপ দিলে দেখবেন যে বামপাশে C5 জ্বলজ্বল করছে। সুতরাং আপনাকে এই নোট দুটোই বসাতে হবে।
    • ভালভাবে লক্ষ করুন। 1 থেকে 2 পর্যন্ত যে চারটা ভাগ আছে তার মধ্যেও আবার 6 টা ভাগ আছে। সেই 6 ভাগের প্রথম দুইটা জুড়ে প্রথম নোট (Q),  আর বাকী চারটা জুড়ে সেকেন্ড নোট (Q) বসান। নোটটার দৈর্ঘ্য বাড়াতে ডানপাশে মাউস রেখে ড্রাগ করে টান দিন। একই ভাবে রঙের মেলায় পর্যন্ত বসান।
    • এখন ভাবছেন যে রঙের মেলায় তো আসলাম। এখন কী বায়োস্কোপ দেখার জন্য নতুন করে আবার প্যাটার্ণ তৈরি করতে হবে? আবার সেই ড্রাম.....হাঙ্কিপাঙ্কি ধুর!
    কিন্তু না। আপনাকে নতুন করে আর কিছুই করতে হবে না। বলেছিলাম না যে FL Studio’র সুবিধা অনেক।
    • Pattern1 এর পাশে যে নিচের দিকে তীর চিহ্ন আছে সেখানে ক্লিক করুন। দেখবেন Clone নামের অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। দেখুন। একদম হুবহু Pattern1 এর মতো Pattern2 চলে এসেছে। এখন আপনার কাজ শুধু FL Keys এর Piano Roll ওপেন করে শুধু নোটগুলো পরিবর্তন করা। সেই আগের মতোই। শুধু “ছি-লা-আম (T-7-Y)” “কো-ও-প (T-R-E)” এসব ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা নোট 6 ঘরের দুই ঘর জুড়ে করবেন।
    এখন বায়োস্কোপের নেশা না ছাড়া পর্যন্ত আরো দুইটা প্যাটার্ণ আপনারা তৈরি করুন। আর “ছাড়েনা’’ এর “ছা(W)” শুরু হবে প্রথম 6 ঘরের ৫ম ও ৬ষ্ঠ ঘর মিলে। না পারলে একটু ভিডিওটা দেখুন। বুঝতে পারবেন
    আর আপনাদের সুবিধার্থে আমি প্রজেক্ট ফাইলটা তৈরি করে রেখেছি।

    আজ আর বেশি বকবক করব না। আজকের মতো এতটুকুই। কী ভাবছেন? নির্লজ্জটা আজকে তার কোনো গান দিলো না? কি যে বলেন! অবশ্যই দেবো। আপনারা শুনুন বা না শুনুন।
    কুমার বিশ্বজিৎ-এর ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ শুনুন আমার এই বিখ্যাত কর্কশ গলায়। যারা ইতোমধ্যেই ফেসবুকে আমার পোস্টটা দেখেছেন তারা হয়তো শুনেছেন। তো যারা শোনেন নি। তাদের জন্য। আর কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন।
    আর হ্যাঁ ফেসবুকে FL Studio’র গ্রুপ খুলেছি। আপনারা চাইলে Join করতে পারেন। Latest Update সেখানেই পাবেন।

    ফেসবুকে আমি:
    https://www.facebook.com/Paakhy
    গ্রুপ লিংক : 
    https://www.facebook.com/groups/FLStudioTutorial

    ----

    4 coment�rios:

    আগের পোস্টে আপনাদের কিছু Software দিয়েছিলাম। আশা করি সবাই Download করতে পেরেছেন। আজ FL Studio’র বেসিকটা আপনাদের জানাবো। আর তা প্র্য...

    FL Studio Bangla Tutorial Tutorial : Basic


    আগের পোস্টে আপনাদের কিছু Software দিয়েছিলাম। আশা করি সবাই Download করতে পেরেছেন। আজ FL Studio’র বেসিকটা আপনাদের জানাবো। আর তা প্র্যাকটিস করাতে করাতে। মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। ধৈর্যহারা হবেন না। আপাতত এই কয়েক মিনিট এই দিকে মনোযোগ শুরু করা যাক তাহলে।
    1.Browser (F8): এটা হলো ব্রাউজার। শর্টকাট কী হলো F8. একবার চাপ দিলে আসবে আরেকবার চাপ দিলে চলে যাবে। আপনিও চেষ্টা করুন। দরকার আছে। এখান থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড নিয়ে কাজ করতে পারি। আবার আমরা কোনো কাজ করতে নিলে এটা সয়ংক্রীয়ভাবে তার ক্ষেত্র উল্লেখ করবে। যেমন: আপনি ভুল করলে Ctrl+Alt+Z চাপলে সাথে সাথে আগের History গুলো এখানে চলে আসবে। কাজের সময় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। 2.Pattern (F6): এটা হলো প্যাটার্ন। মূল কাজ এখানেই। এখানকার কাজ একটু ভালভাবে বর্ণনা করা যাক। এইখানে আপনাকে গানের এক লাইন-এক লাইন করে তাল অনুসারে মিউজিক তৈরি করতে হবে। যেমন ধরুন। আপনি “শ্রাবণের মেঘগুলো” গানটার মিউজিক কম্পোজ করতে চান। সেক্ষেত্রে তাল অনুসারে আপনাকে গানটাকে খন্ড খন্ড করতে হবে। আর তারপর আপনাকে এই খন্ড খন্ড লাইন গুলো বসাতে হবে Playlist (F5)-এ। যেমন: (তাল অনুসারে)
    Pattern1:
    শ্রাব
    নের
    মেঘ
    গুলো
    Pattern2:
    জড়ো
    হলো
    কা
    Pattern3:
    শে...
    Pattern4:
    ঝোরে
    নাম
    বে বুঝি
    Pattern5:
    শ্রাব
    ণ্‌
    ঝরা
    Pattern6:
    য়ে
    -
    -
    -
    এখন মূলগানে এই দুই লাইনটা আবার গায়। সেক্ষেত্রে কি আপনি আবার দুইটা Pattern করবেন? না, FL Studio’র সুবিধাই হলো এটি। একই সুরবিশিষ্ট লাইন একবার তৈরি করলে দ্বিতীয়বার তৈরির প্রয়োজন পড়ে না। Playlist এ এই দুইটা Pattern আবার বসাতে পারবেন। Playlist এর ব্যাপারে পরে যখন আমরা প্র্যাকটিস করব তখন বিস্তারিত বলব।
    কিন্তু ভাবছেন আরেকটা Pattern নেবেন কীভাবে? কি-বোর্ডে সবার ডানপাশে যে Numeric কি-বোর্ড থাকে সেখানে ‘+’ (প্লাস) বাটন চাপলেই দেখবেন পরের প্যাটার্নে চলে গেছেন। তখন প্যাটার্ন বক্সের উপরে লেখা দেখতে পাবেন Pattern2. আর আগের প্যাটার্নে ফিরতে ‘-’ (মাইনাস)বাটন চাপুন। আর F4 এ চাপ দিলেই আপনি একটা নতুন ফাঁকা প্যাটার্ন নিয়ে কাজ করতে পারেন।
    ফাইলটা ডাউনলোড করুন। মাত্র 56kb কিলোবাইট।
    ফাইলটা ডাউনলোড করে FL Studio 11 দিয়ে ওপেন করে স্পেসবারের চাপ দিন। প্রথম প্যাটার্ণটা বাজবে। আমি হালকা একটা ড্রাম আর একটা ইলেট্রিক গিটার ব্যবহার করেছি। এরপর ‘+’ বাটন চেপে চেপে সবগুলো প্যাটার্ণ শুনুন। দেখুন আমি যে প্যাটার্ণ উপরে উল্লেখ করেছি। তার সাথে মেলে কি না।
    Playlist (F5):
    বলেছিলাম যে প্যাটার্ণগুলো বসাতে হয় Playlist-এ। তো আমি 6 টা প্যাটার্ণই Playlist-এ বসিয়েছি। এবার তাহলে পুরোটা কী হলো সেটা শোনার পালা। যখন আমরা স্পেসবারে চাপ দিয়ে প্যাটার্ণ বাজাচ্ছিলাম তখন খেয়াল করবেন যে উপরে ডিজিটাল ঘড়ির মতো অংশের নিচে PAT এর পাশে বাদামী আলো জ্বলছিল।আর যখন আমরা Playlist বাজাবো তখন আমাদের অবশ্যই PAT এর নিচে SONG এর পাশের সবুজ লাইটটা জ্বালাতে হবে। এবার স্পেসবারে চাপ দিন। সবগুলো একসাথে বাজবে।এতো খুশি হয়ে গেলেন! কিন্তু তারপরও ভাবছেন আমি যে ইলেট্রিক গিটার ব্যবহার করেছি সেটা কোথায় পেলাম। আর Playlistএ প্যাটার্ণগুলো বসালামই বা কী করে। সবকিছুই বলছি।
    প্রথমেই বলি যে Playlist এ প্যাটার্ণগুলো বসালাম কী করে। আপনি যখন Pattern1 এ, তখন আপনি Playlist এ গিয়ে যদি Track1/Track2 (ইচ্ছা)-এর ঘরে মাউসের বাম বাটন চাপেন তাহলে ঐ অংশে আপনার তৈরি Pattern1 বসে যাবে। তাল রক্ষার জন্য মাউস দিয়ে এটাকে বামে-ডানে সরিয়ে ঠিক জায়গায় স্থাপন করুন। এরপর ‘+’ বাটনে চাপ দিন অর্থাৎ Pattern2 তে যান। এরপর মাউসের বাম বাটনে চাপ দিয়ে ঠিক Pattern1 এর পাশে স্থাপন করুন। এবার আবার ‘+’ বাটনে চাপ দিনআর একে একে ৬ টি প্যাটার্ণই বসান। তারপর SONG পাশের সবুজ আলো জ্বালিয়ে Playlist এর গানটা চালু করুন। এইতো আপনি পেরেছেন!যদি না পারেন তবে নিচের ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে নিন। আরে ভাই, আমার এলাকায় 3G থাকলে কি আর এতক্ষণ ধরে লিখতে বসি। আপনাদের ভিডিও টিউটোরিয়াল দিয়ে ভরিয়ে দিতাম।
    3. Mixer (F9): এটার এখন কোনোই দরকার নেই। কারণ এটা যখন গান রেকর্ডিং শেখাবো তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো। তবে এটুকুই বলি যে এটা দিয়ে আমার অপছন্দের কিছু শিল্পীদের গানের মতো Vocal ইডিটিং বেশ ভালোভাবেই করা যায়। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলব। আর সেই ইলেট্রিক গিটার কোথায় পেলাম তা এখন বলি। ভাইজান, FL Studio হলো অসংখ্য ভার্চুয়াল বাদ্যযন্ত্রের সমুদ্র। আপনাকে একটা কথাই বলব। FL Studio ওপেন করে একবার মাউসের চাকাতে বা Ctrl+F8 এচাপ দিয়ে দেখুন।
    অবাক হলেন এতো বাদ্যযন্ত্র দেখে? আপনাকে আরো একটু অবাক করে দিই। All থেকে Sytrus বাদ্যযন্ত্রটা মাউস দিয়ে টেনে এনে FL Studio’র মাঠে ছেড়ে দিন।

    এখন কি-বোর্ডের Q থেকে ] পর্যন্ত, A থেকে Enter এর আগ পর্যন্ত, Z থেকে / পর্যন্ত বোতামগুলো চাপুন। একটা হারমোনিয়াম/পিয়ানোর সাথে কোনোই পার্থক্য নেই। আর একটু অবাক করে দিই? Sytrus এর উপরের ডান কোনায় যেখানে ক্রস (x) চিহ্ন আছে তার বাম পাশে দেখবেন দুইটা বাম-ডান এ্যারো চিহ্ন আছে। সেখানে মাউস রেখে শুধু মাউসের ডান বাটন একবার ক্লিক করে দেখুন।
    শেষ হচ্ছেনা? মাউসের চাকা ঘুরান। আমি এখান থেকেই Electric 3 নিয়ে একটু আগে কাজ করলাম। একটা বাদ্যযন্ত্রতেই যদি এত সাউন্ড থাকে তাহলে আরগুলোর কথা না হয় না-ই বললাম। তবে সত্যি কথা হলো একটা গান তৈরিতে সবগুলো বাদ্যযন্ত্র লাগেনা।আর ড্রামের ব্যবহার তো মনে হয় এতক্ষণে শিখে ফেলেছেন। তবে আরো কয়েকভাবেড্রাম ব্যবহার করা যায়। সবই শিখাবো ধীরে ধীরে। আজ অনেক বকবক করেছি। FL Studio তে কম্পোজ করা আমার কন্ঠের একটা গান আপনাদের দিয়েই আজ শেষ করতে চাই। (আমি কী নির্লজ্জ!) এটা আপনাদের শুনতে ভালো না লাগুক, আপনাদের উৎসাহ বাড়বে। আর যদি সৌভাগ্যবশত প্রশংসা পেয়েই যাই তাহলে আমিও উৎসাহ পাব।
    কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন।
    পোস্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করেছি এখানে >>
    ফেসবুকে আমি: Sandpiper Mehedee

    17 coment�rios:

    FL Studio হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে সঙ্গীত বিষয়ে যারা মুটামুটি জানেন তারা খুব সহজেই যেকোন গানের মিউজিক তৈরি করতে পারেন। প...

    FL Studio Bangla Tutorial Tutorial : Intro

    FL Studio হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে সঙ্গীত বিষয়ে যারা মুটামুটি জানেন তারা খুব সহজেই যেকোন গানের মিউজিক তৈরি করতে পারেন। পাশাপাশি গানটি রেকর্ড করে অডিও ফাইল আকারে বের করে বন্ধু-বান্ধবকে শুনাতে পারেন।  FL এর পূর্ণরুপ হলো Fruity Loops. 

    পৃথিবীর এমন কোনো সাউন্ড বা বাদ্যযন্ত্র নেই যা এতে নেই। আর একান্তই যদি কিছু দৈবক্রমে বাদ পড়ে যায় তাহলেও চিন্তা নেই। খুব সহজে সেটাও আপনি এর সাথে যুক্ত করতে পারবেন। এমনকি নিজে কিছু সাউন্ড রেকর্ড করে নতুন একটা বাদ্যযন্ত্র আপনি নিজেই তৈরি করতে পারবেন। আর যত প্র্যাকটিস করবেন এই সফটওয়্যারটিতে ততই দক্ষ হয়ে উঠবেন।

    এছাড়া যেকোনো অডিও ফাইলের সব রকমের কাজ এই সফটওয়্যারটির সাহায্যে করতে পারবেন।
    সফটওয়্যারটি দেবার আগে আমার সঙ্গীত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলে নিই।

    আমি সঙ্গীতের হাতে-খড়ি হয় NOKIA 1100 মোবাইলের মাধ্যমে। ২০০৪-৫ সালের ঘটনা। তখন আমার আব্বা প্রথম মোবাইল কেনেন। ঐ ফোনেই Extras মেনুতে Composer নামে একটা অপশন ছিল। টিভিতে সা-রে-গা-মা শুনে শুনে ফোনেও মিলানোর চেষ্টা করতাম। তারপর সহজকিছু গানের মিউজিক দিয়ে চর্চা করতে করতে এখন প্রায় জানা যেকোন গানেরই মিউজিক তৈরি করতে পারি কয়েক মিনিটেই।

    উৎসাহী পাঠকরা নিজেরাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদিও এখন সেই ফোনগুলো খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। তবে NOKIA 1xxx  সিরিজের যেসকল ফোনে Composer অপশন পাবেন সবগুলোতেই হবে। দেখি নিচের বোতামগুলো চাপতে থাকুন। কী গানের মিউজিক তৈরি হয় তা কমেন্ট করে জানান।


    1-8-1-3-3-4-4-3-4-5(চাপ দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে রাখুন 8.g1 না আসা পর্যন্ত)-9-
    5-8-#-5-4-3-4-5(চাপ দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে রাখুন 8.g1 না আসা পর্যন্ত)-9-
    5-8-#-5-4-3-4-5-5-5-5-#-5-4-2-#-2-1-1(চাপ দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে রাখুন 8.c1 না আসা পর্যন্ত)-9

    তো এরপর আমার আব্বা আমাদের নিজ এলাকা বগুড়ায় ট্রান্সফার হয়ে এলেন। সরকারি চাকুরিজীবি তো। ১ম-১০ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট আটটার মতো স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে।
    কী বলবেন জানি। দীপু নাম্বার ২, না না ৩। তাইতো?
    যাইহোক বাড়ি এলাম। খালার বাড়িতে একটা হারমোনিয়াম ছিল। ওটা বাড়িতে নিয়ে এলাম। সা-রে-গা-মার ম্যাপিংটা মোবাইল অনুযায়ী করে নিলাম। আর বাজাতে থাকলাম। কিছুদিন প্র্যাকটিস করার পর দেখলাম বেশ ভালোই আয়ত্তে এসেছে। এরপর প্র্যাকটিস করেছি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছি, পুরস্কার জিতেছি, কিন্তু খালার বাড়ি থেকে লোক এসে হারমোনিয়ামটা নিয়ে গেল। আর আমার সঙ্গীত সাধনায় ভাটা পড়ে গেল। 
    তো এরই মধ্যে আমার আব্বা আমাকে কম্পিউটার কিনে দিলেন। তো কম্পিউটার হাতে আসার পর প্রথমেই ভাবলাম কিভাবে কম্পিউটারেই হারমোনিয়াম বাজানো যায়। কারো মুখে FL Studio সফটওয়্যারটির গুণাগুণ শুনেছিলাম। তাই ইন্টারনেট থেকে একটা Demo Version নামিয়ে নিলাম।
    Demo Version পেয়েই আমি মহাখুশি! কারণ, হারমোনিয়াম বাজাতে পারছি। আরো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারছি। আর FL Studio ওপেন করলে প্রথমেই ৪ টা ড্রামকিট থাকে। ওগুলো দিয়ে মুটামুটি একটা তাল তৈরি করে কম্পিউটারের কিবোর্ড দিয়ে বাজাতাম আর গান গাইতাম। আর কিবোর্ডে বাজানোর সুবিধার্থে দোকান থেকে মেয়েদের কপালের টিপ কিনে এনে হারমোনিয়ামের মতো করে লাগালাম। আর চায়না একটা ফোন দিয়ে যা গাইতাম তা রেকর্ড করতাম। চায়না ফোনগুলোতে সত্যি দারুণ রেকর্ডিং হয়। আর অডিও ইডিটর দিয়ে সেই সাউন্ড বাড়িয়ে শুনতাম, শুনাতাম আর ভাবতাম শিল্পী তো হয়েই গেলাম!
    যাইহোক। এরপর অনেক খুঁজাখুজির পর 4shared থেকে ঐ FL StudioCrack ডাউনলোড করে ফুল ভার্সন করলাম। আর প্র্যাকটিস শুরু করলাম। বছরখানেক এভাবে প্র্যাকটিস করার পর এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে আমার জানা যেকোনো গানের মিউজিকই কম্পোজ করে রেকর্ড করতে পারি।
    আমার কম্পোজ করা (শিল্পী শ্রীকান্তের) একটা গান। অবশ্যই আমার কর্কশ কন্ঠের।

    আজ বেশিকিছু লিখব না। শুধু মিউজিকের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এরপর শিখাবো কিভাবে কাজ করা শুরু করবেন।
    1.       FL Stdio 11 Producer Edition (297mb) Download ↓↓ 
    FL Studio 11 Crack Download ↓↓
    Installation Tutorial Video Download ↓↓
    2.       Cool Audio Magic Audio Editor Pro v10.0.4.588 (7.40mb) Download ↓↓
    Serial: MAEP5943721
    3.       Volumouse (117kb) Download ↓↓ 
     http://donottellalie.blogspot.com/2014/11/fl-studio-bangla-tutorial-tutorial-basic.html






    3 coment�rios: